Timeline of British Rule in India from 1600 to 1947

British Rule in India
British Rule in India: Timeline of from 1600 to 1947 full details
Unveiling the Timeline of British Rule in India: From Colonial Conquest to Independence

Introduction:
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কাহিনী; ঔপনিবেশিকতা, প্রতিরোধ এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তির জটিলতার প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত এই সময়রেখাটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠা থেকে স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ-সংগ্রামী সংগ্রাম পর্যন্ত ব্রিটিশ আধিপত্যের অধীনে ভারতীয় ইতিহাসের গতিপথকে রূপদানকারী উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলিকে বর্ণনা করে।
গভর্নর অফ বেঙ্গল
ব্রিটিশ শাসনের জন্ম 1600 সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠার সাথে ভারতে ব্রিটিশদের জড়িত হওয়ার সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কোম্পানিটি ধীরে ধীরে কূটনৈতিক কূটকৌশল এবং সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে তার নাগাল প্রসারিত করে। 1757 সালের পলাশীর যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল, কারণ বাংলার নবাবের বিরুদ্ধে কোম্পানির বিজয় রাজনৈতিক ক্ষমতায় তার আরোহণের সূচনা করে।
একত্রীকরণ এবং বিদ্রোহ পরবর্তী দশকগুলি ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলগুলির উপর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের একীকরণের সাক্ষী ছিল। কৌশলগত জোট, প্রশাসনিক সংস্কার এবং সামরিক অভিযানের সংমিশ্রণের মাধ্যমে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশীয় রাজ্য এবং অঞ্চলগুলিতে তার আধিপত্য বিস্তার করে। যাইহোক, অর্থনৈতিক শোষণ এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার কারণে ভারতীয় জনগণের মধ্যে উদ্দীপ্ত অসন্তোষ 1857 সালে প্রকাশ্য বিদ্রোহে পরিণত হয়। সিপাহী বিদ্রোহ, যা 1857 সালের ভারতীয় বিদ্রোহ নামেও পরিচিত, ব্রিটিশ কর্তৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল, যার ফলে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে এবং প্রতিশোধ I
Table of Contents
প্রত্যক্ষ ব্রিটিশ শাসনের যুগ ভারতীয় বিদ্রোহের পরের ঘটনাটি ভারতীয় ইতিহাসে একটি রূপান্তরমূলক সময় চিহ্নিত করে, কারণ ব্রিটিশ ক্রাউন ভারতের উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারতের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়েছিল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধা-স্বায়ত্তশাসিত শাসন থেকে কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে। এই সময়কালে প্রশাসনিক সংস্কার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পশ্চিমা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তনের সাক্ষী ছিল। যাইহোক, ব্রিটিশ নীতিগুলি 1885 সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার দ্বারা উদাহরণ হিসাবে জাতীয়তাবাদী অনুভূতির জন্ম দেয় এবং স্ব-শাসনের আহ্বান জানায়।
জাতীয়তাবাদ, সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতে স্বাধীনতা, সাম্য এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের আদর্শের দ্বারা উজ্জীবিত একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উত্থান দেখা যায়। মহাত্মা গান্ধী, তার অহিংস প্রতিরোধের দর্শন দিয়ে, জনসাধারণকে তাদের স্বাধীনতার সন্ধানে উজ্জীবিত করেছিলেন। 1920-1922 সালের অসহযোগ আন্দোলন এবং 1930-1934 সালের আইন অমান্য আন্দোলন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে গণসংহতির শক্তি প্রদর্শন করেছিল। নিপীড়ন ও কারাবাসের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিচল ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ঘিরে উত্তাল বছরগুলি স্বাধীনতার দাবিকে আরও তীব্র করে তোলে। 1942 সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ব্রিটিশ শাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং আইন অমান্যের সাক্ষী ছিল। গ্রেফতার এবং ক্র্যাকডাউন দ্বারা চিহ্নিত ব্রিটিশ প্রতিক্রিয়া শুধুমাত্র ভারতীয় জনগণের সংকল্পকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছিল। অবশেষে, 1947 সালে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাস করে, যা ব্রিটিশ ভারতকে দুটি পৃথক জাতি, ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত করার পথ প্রশস্ত করে।
start quiz on British Rule in India
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৫৮-৬০)

- পলাশির যুদ্ধ হয় (১৭৫৭), বাংলায় কর্তৃত্ব স্থাপন, মিরজাফর বাংলার নবাব নিযুক্ত।
- নিজামের কাছ থেকে উত্তর সরকার জয় (তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধ)।
- চুঁচুড়া বা বিদেরার যুদ্ধে ওলন্দাজরা পরাজিত।
British Rule in India
ভ্যান্সিটার্ট (১৭৬০-৬৫)
- মিরকাশিম বাংলার নবাব নিযুক্ত।
- বক্সারের যুদ্ধ জয় (১৭৬৫), মির জাফর পুনরায় বাংলার নবাব।

British Rule in India
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫-৬৭)

- এলাহাবাদের সন্ধি
- বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি (রাজস্ব আদায়ের অধিকার) লাভ, কিন্তু রাজস্ব আদায়ের প্রকৃত দায়িত্ব ভারতীয় আধিকারিকদের ওপরেই ন্যস্ত আর ফৌজদারি (আইন-শৃঙ্খলার) দায়িত্ব রইল নবাবের হাতে (দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
British Rule in India
ভেরেলস্ট (১৭৬৭-৬৯)
- প্রথম মহীশূর যুদ্ধ।
কার্টিয়ের (১৭৬৯-৭২)
- বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (১৭৭০)
ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২-৭৪)
- দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার বিলোপ, বোর্ড অফ রেভিনিউ গঠিত, অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্কার।
- সরকারি কোষাগার মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত।
- ১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুযায়ী গভর্নর অফ বেঙ্গল পদের নাম পরিবর্তন করে করা হল গভর্নর জেনারেল অফ ফোর্ট উইলিয়াম ইন বেঙ্গল।

British Rule in India
ওয়ারেন হেস্টিংস (প্রথম গভর্নর জেনারেল অফ বেঙ্গল, (১৭৭৪-১৭৮৫)
- রোহিলা যুদ্ধ (১৭৭৪)।
- প্রথম মারাঠা যুদ্ধ (১৭৭৫-৮২)
- দ্বিতীয় মহীশূর যুদ্ধ (১৭৮০-৮৪)
- পিট’স ইন্ডিয়া অ্যাক্ট (১৭৮৪)।
- নিলামের ভিত্তিতে জমি ইজারায় দেওয়া।
- হেস্টিংসের পৃষ্ঠপোষকতায় উইলিয়াম জোন্স কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল (১৭৮৪) স্থাপন করেন
জন ম্যাকফারসন কার্যনির্বাহী গভর্নর জেনারেল, (১৭৮৫-৮৬)
লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৬-৯৩)

- তৃতীয় মহীশূর যুদ্ধ (১৭৯০-৯২) এবং শ্রীরঙ্গপত্তনমের সন্ধি (১৭৯২)
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯৩)।
- প্রশাসন ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
- ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের জনক।
- প্রথম চার্টার আইন (১৭৯৩)।
British Rule in India
স্যার জন শোর (১৭৯৩-৯৮)
- ভারতীয় শাসকদের কার্যকলাপের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির জন্য বিখ্যাত।
- ১৭৯৮ সালে বাংলায় সামরিক আধিকারিকদের প্রতিবাদ দমন করতে না পারায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮-১৮০৫)
- নিজেকে ‘বেঙ্গল টাইগার’ বলে বর্ণনা করতেন।
- ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নীতির প্রচলন করেন, নিজাম প্রথম এই মৈত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন(১৭৯৮)।
- চতুর্থ মহীশূরের যুদ্ধ (১৭৯৯), টিপু পরাজিত ও নিহত, মহীশূরের সিংহাসনে ফিরে এল পুরোনো ওদেয়ার বংশ।
- বেসিনের চুক্তি (১৮০২) ও দ্বিতীয় মারাঠা যুদ্ধ (১৮০২-০৫)।
- তাঞ্জোর ও কর্ণাটক জয়ের পরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি (১৮০১) গঠন।
- ওয়েলেসলির অবিরাম আক্রমণাত্মক নীতির-যা অনেক সময়ই ব্রিটিশ সরকার সমর্থন করেনি-ফলেই ভারতব্যাপী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।

British Rule in India
লর্ড কর্নওয়ালিস (১৮০৫)
- হস্তক্ষেপ না করার নীতি ফিরিয়ে আনেন।
- যাত্রাপথে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে মারা যান।
স্যার জর্জ বার্লো (১৮০৫-০৭
- ইনিও হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করেন।
- ১৮০৭ সালের ভেলোর মিউটিনির ফলে তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
লর্ড মিন্টো (প্রথম) (১৮০৭-১৮১৩)
- রণজিৎ সিং এর সঙ্গে অমৃতসরের চুক্তি (১৮০৯)।
- ত্রিবাজ্জুরে বিদ্রোহ (১৮০৮)
- দ্বিতীয় চার্টার আইন (১৮১৩)
জন অ্যাডাম (কার্যনির্বাহী গভর্নর জেনারেল, ১৮১৩)
লর্ড হেস্টিংস (১৮১৩-২৩)

- নেপাল যুদ্ধ (১৮১৪-১৬)
- পিন্ডারি দস্যুদের দমন ও তৃতীয় মারাঠা যুদ্ধ
- (১৮১৭-১৯), পেশোয়া সাম্রাজ্য বম্বের সঙ্গে যুক্ত করে বম্বে প্রেসিডেন্সি (১৮১৮) গঠন।
- সিঙ্গাপুর জয়।
- মাদ্রাজে রায়তওয়ারি ব্যবস্থা চালু (১৮২০), এর পরিকল্পনা করেন মাদ্রাজের গভর্নর টমাস মুনরো।
British Rule in India
লর্ড আমহার্স্ট (১৮২৩-২৮)
- প্রথম বার্মা যুদ্ধ (১৮২৪-২৬)
- ভরতপুর জয় (১৮২৬)
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮-৩৩)
- প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার।
- আদালতে স্থানীয় ভাষা ব্যবহারের অনুমতি।
- সতীদাহ রদ (১৮২৯)।
- ঠগীদের দমন (১৮২৯-১৮৩৫)। ‘ম্যাকুলের মিনিট’ এবং শিক্ষার ভাষা হিসেবে ইংরেজি গৃহীত।
- মহীশূর (১৮৩১), কুর্গ (১৮৩৪), কাছাড় ও জয়ন্তিয়া (১৮৩২) সাম্রাজ্যভুক্ত।
- আগ্রা প্রদেশ গঠন (১৮৩৪)
- রণজিৎ সিং এর সঙ্গে চুক্তি (১৮৩১), সিন্ধের আমিরদের সঙ্গে চুক্তি (১৮৩২)।
- কলকাতায় ভারতের প্রথম মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত।
- ১৮৩৩ সালের চার্টার আইন।
- ১৮৩৩ সালের চার্টার আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেল অফ ফোর্ট উইলিয়াম ইন বেঙ্গল পদটিকে গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া পদে উন্নীত করা হল

British Rule in India
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (প্রথম গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, ১৮৩৩-৩৫)
- ১৮৩৩ সালের চার্টার আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলে নতুন আইন সদস্যের অন্তর্ভূক্তি
স্যার চার্লস মেটকাফ (কার্যনির্বাহী গভর্নর জেনারেল, ১৮৩৫-৩৬)
লর্ড অকল্যান্ড (১৮৩৬-৪২)
- প্রথম আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-৪২), ব্রিটিশদের চূড়ান্ত বিপর্যয়, ফলস্বরূপ অকল্যান্ডকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়
লর্ড এলেনবরো (১৮৪২-৪৪)
- প্রথম আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি (১৮৪২)।
- সিন্ধুবিজয় (১৮৪৩)।
- গোয়ালিয়রের সঙ্গে যুদ্ধ (১৮৪৩)।
লর্ড হার্ডিঞ্জ (১৮৪৪-৪৮)
- প্রথম অ্যাংলো শিখ যুদ্ধ (১৮৪৫-৪৬) এবং লাহোরের চুক্তি (১৮৪৬)।
- ওড়িশার গোল্ড উপজাতিদের মনুষ্যবলির প্রথা রদ।
- ট্রাঙ্কুবার ও শ্রীরামপুরের ওলন্দাজ উপনিবেশ ক্রয়।
লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮-৫৬)

- দ্বিতীয় অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধ (১৮৪৮-৪৯) ও পাঞ্জাব জয়।
- দ্বিতীয় বার্মা যুদ্ধ (১৮৫২), নিম্ন বার্মার সংযুক্তিকরণ।
- ১৮৫৩ সালের চার্টার আইন প্রণীত।
- দত্তক প্রথা অস্বীকার করার মাধ্যমে দেশীয় রাজ্য-সাতারা (১৮৪৮), সম্বলপুর (১৮৫০), ঝাঁসি (১৮৫৩), নাগপুর (১৮৫৩), জইতপুর (১৮৪৯), ভগত (১৮৫০), উদয়পুর (১৮৫২) দখল।
- অপশাসনের অজুহাতে অবধ দখল (১৮৫৬)। হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন (১৮৫৬)।
- উড’স ডেসপ্যাচ-উচ্চশিক্ষার সূচনা, প্রতিটি প্রেসিডেন্সিতে ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক ইন্সট্রাকসন’ (শিক্ষা দপ্তর) এর সূচনা।
- পূর্ত দপ্তর স্থাপন।
- রেলপথের সূচনা (প্রথম ট্রেন বম্বে থেকে থানে), টেলিগ্রাফের সূচনা (প্রথম তার কলকাতা থেকে আগ্রা), ডাকবিভাগের সূচনা (১৮৫৩)।
- সিমলা গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর।
- আই.সি.এস-এ প্রবেশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা শুরু।
- সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৬)।
British Rule in India
লর্ড ক্যানিং (১৮৫৬-৫৮)
- কোলকাতা, বম্বে ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা (১৮৫৭)।
- মহাবিদ্রোহ (১৮৫৭)
- ১৮৫৮ সালের মহারানির ঘোষনাপত্র অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটল এবং ব্রিটিশ সরকারের সরাসরি কর্তৃত্ব স্থাপিত হল। একই সঙ্গে দ্যা অ্যাক্ট ফর দ্য বেটার গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (১৮৫৮) অনুসারে গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে ভাইসরয়ের অতিরিক্ত উপাধি দেওয়া হল।
লর্ড ক্যানিং (প্রথম ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, ১৮৫৮-৬২)
- মহাবিদ্রোহ দমনের পর ভারতীয়দের প্রতি নির্যাতনমূলক নীতি না নেওয়ায় ‘ক্লেমেন্সি ক্যানিং’ নামে পরিচিত হন।
- ইন্ডিয়ান কাউন্সিলস্ অ্যাক্ট (১৮৬১)।
- ‘পোর্টফোলিও ব্যবস্থা’র সূত্রপাত (১৮৬১)
- আগ্রা, অবধ, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে দুর্ভিক্ষ
- ভারতীয় বিধি সংহিতা আইনে পরিণত (১৮৫৮)। এই সংহিতা তৈরি করেছিলেন টমাস ব্যারিংটন মেকলে।
- কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর তৈরি (১৮৫৯)

British Rule in India
লর্ড এলগিন (প্রথম) (১৮৬২-৬৩)
- ভারতীয় রাজাদের সঙ্গে মিত্রতা ঘনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে একাধিক দরবার আহ্বান করেন।
- এলগিনের আমলে ওয়াহাবিদের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
- ধর্মশালায় ১৮৬৩ সালে এলগিন মারা যান।
রবার্ট নেপিয়ার, উইলিয়াম ডেনিসন (কার্যনির্বাহী ভাইসরয়, ১৮৬৩-৬৪)
- ডেনিসন ওয়াহাবিদের দমন করেন এবং তাদের কেন্দ্র মালকা ধ্বংস করেন।
স্যার জন লরেন্স (১৮৬৪-৬৯)

- আফগানিস্থানের বিষয়ে তথাকথিত নীতি অনুসরণ করেন।
- ভুটান যুদ্ধ (১৮৬৫)।
- কলকাতা, বম্বে ও মাদ্রাজে হাইকোর্ট স্থাপন (১৮৬৫)।
- ইউরোপের সঙ্গে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ স্থাপন (১৮৬৯)।
- উড়িষ্যা রাজপুতনা এবং বুন্দেলখণ্ডে দুর্ভিক্ষ; ফেমিন কমিশন নিযুক্ত।
- রেলপথের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, সেচ খাল খনন, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদির জন্য স্মরণীয়।
- ১৮৬৮ সালে প্রণীত হয় পাঞ্জাব টেন্যান্সি অ্যাক্ট এবং অবধ টেন্যান্সি অ্যাক্ট।
British Rule in India
লর্ড মেয়ো (১৮৬৯-৭২)
- ভারতীয় রাজপুত্রদের শিক্ষার জন্য দুটি কলেজ প্রতিষ্ঠা-রাজকোট কলেজ (কাথিয়াবাড়) এবং মেয়ো কলেজ (আজমের)প্রথম জনগণনা (সেনসাস এর বদলে এটিকে অবশ্য স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল (১৮৭২)।
- কৃষি ও বাণিজ্য বিভাগের সূচনা।
- আন্দামানের এক পাঠান বন্দির ছুরিকাঘাতে লর্ড মেয়োর মৃত্যু হয়।
British Rule in India
লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২-৭৬)
- বিহার ও বাংলায় দুর্ভিক্ষ।
- পাঞ্জাবে কুকা বিদ্রোহ (১৮৭২)।
- প্রিন্স অফ ওয়েলস্ (পরবর্তীকালের সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড) এর ভারত সফর (১৮৭৫)আফগানিস্তানের বিষয়ে নর্থব্রুক লরেন্স ও মেয়োর Masterly Inactivity নীতি অনুসরণ করেন।
- ব্রিটিশ সরকার আফগানিস্তানে রেসিডেন্ট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নর্থব্রক ইস্তফা দেন।
লর্ড লিটন (১৮৭৬-৮০)

- ইংল্যান্ডের রানি ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষিত (১৮৭৭), ১৮৭৭ সালের জাঁকজমকপূর্ণ দিল্লি দরবারে রানিকে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ উপাধি প্রদান।
- দাক্ষিণাত্য, মহীশূর, মাদ্রাজ, মধ্যভারত এবং বম্বেতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
- রিচার্ড স্ট্রাচির নেতৃত্বে ‘ফেমিন কমিশন’ গঠিত।
- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট (১৮৭৮) প্রণীত।
- আমর্স অ্যাক্ট (১৮৭৬) – লাইসেন্স ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ভারতীয়দের পক্ষে দণ্ডনীয় অপরাধ।
- ভারতীয় ছাত্রদের দূরে সরিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে আই.সি.এস. পরীক্ষায় বসার বয়েসের উদ্ধসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ বছর।
- আফগানিস্তানের বিষয়ে forward policy গ্রহণ, এর ফলস্বরূপ দ্বিতীয় অ্যাংলো আফগান যুদ্ধ বাঁধে, যুদ্ধে বিপর্যয়ের কারণে লিটন পদত্যাগ করেন।
British Rule in India
লর্ড রিপন (১৮৮০-৮৪)
- ‘Forward Policy’ দূরে সরিয়ে নতুন আফগান আমির আব্দুর রহমানের সঙ্গে সমঝোতা।
- প্রথম ফ্যাক্টরি আইন (১৮৮১)-শিশুদের কাজের সময় সীমিত করে দেওয়া হয়।
- মহীশূর পুরোনো রাজবংশের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হল (১৮৮১)। প্রথম নিয়মিত জনগণনা (সেন্সাস) (১৮৮১),
- মোট জনসংখ্যা ২৫.৪০ কোটি।
- ভার্নাকুলার প্রেস আইন প্রত্যাহৃত। শিক্ষা বিষয়ে হান্টার কমিশন নিযুক্ত (১৮৮২),
- পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
- আই.সি.এস পরীক্ষায় বসার বয়স সীমা ১৯ থেকে বাড়িয়ে ২১।
- স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন ব্যবস্থার সূত্রপাত (১৮৮২)।
- ফেমিন কোড চালু (১৮৮৩)
- লিভ ভ্যাকান্সিতে স্যার রমেশচন্দ্র মিত্রকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করায় ইংরেজদের ক্ষোভ। এর ফলে বিচার বিভাগে ভারতীয়দের সমানাধিকার দেওয়ার জন্য ইলবার্ট বিল তৈরি করা হয়।
- ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও ইংরেজদের তীব্র রাজনৈতিক লড়াই।
- ভারতীয়দের প্রথম আধুনিক রাজনৈতিক আন্দোলন। অন্যদিকে ইংরেজদেরচাপের মুখে রিপনের পদত্যাগ

British Rule in India
লর্ড ডাফরিন (১৮৮৪-৮৮)
- তৃতীয় বর্মা যুদ্ধ (১৮৮৫-৮৬), বার্মার উত্তরাঞ্চল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত।
- জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা (১৮৮৫)।
লর্ড ল্যান্সডাউন (১৮৮৮-৯৪)
- দ্বিতীয় ফ্যাক্টরি আইন (১৮৯১)।
- ইন্ডিয়ান কাউন্সিল আইন (১৮৯২)।
- “Age of consent Act’ (১৮৯১) বিয়ের বয়স ১০ থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর।
- আফগান সীমান্ত নির্ধারিত (ডুরান্ড লাইন)।
লর্ড এলগিন (দ্বিতীয়) (১৮৯৪-৯৯)
- পুনায় প্লেগ (১৮৯৬), প্লেগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ইংরেজ অত্যাচারের অভিযোগ, এই কাজে যুক্ত দুই ব্রিটিশ অফিসার র্যান্ড ও আয়ার্স্টকে হত্যা করেন চাপেকার ভ্রাতৃদ্বয় (১৮৯৭)।
- মধ্য ভারত, রাজপুতানা, বিহার, যুক্তপ্রদেশ, পাঞ্জাবের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ।
- স্যার জেমস লয়ালের নেতৃত্বে নতুন ফেমিন কমিশন।
লর্ড কার্জন (১৮৯৯-১৯০৫)

- উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ গঠন।
- কর্ণেল ইয়ং হ্যাজব্যান্ডের তিব্বতে দৌত্য।
- সমবায় সমিতির সূত্রপাত, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক গঠিত।
- বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য র্যালে কমিশন গঠিত।
- আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে প্রতিষ্ঠিত, পুরোনো সৌধ সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ।
- পুসায় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত, সেচ কমিশন গঠিত।
- পুলিশ কমিশন গঠিত।
- রেলবোর্ড তৈরি, রেলপথের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ।
- বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) ও স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা।
- সেনাপ্রধান লর্ড কিচেনারের সঙ্গে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কার্জন ইস্তফা দেন।
British Rule in India
লর্ড মিন্টো (দ্বিতীয়) (১৯০৫-১০)
- বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী ও স্বদেশি আন্দোলন।
- ঢাকাতে মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠা (১৯০৬)। কংগ্রেসে ভাঙন (১৯০৭)।
- মলে-মিন্টো সংস্কার (১৯০৯)।
British Rule in India
লর্ড হার্ডিঞ্জ (দ্বিতীয়) (১৯১০-১৬)
- পঞ্চম জর্জের সম্মানার্থে দিল্লিতে ‘করোনেশন দরবার’ (১৯১১)। এই দরবারেই ঘোষণা করা হয়- (ক) রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। (খ) বঙ্গভঙ্গ রদ করা হবে।
- চাঁদনি চকে বোমার আঘাতে আহত।
- কোমাগাতামারু ঘটনা।
- মদনমোহন মালব্য ও অন্যদের হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠা (১৯১৫)।
- বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি।
লর্ড চেমসফোর্ড (১৯১৬-২১)
- দুটি হোমরুল লিগের প্রতিষ্ঠা, একটির নেতৃত্বে লোকমান্য তিলক, অন্যটির নেতৃত্বে অ্যানি বেসান্ত (১৯১৬)।
- লক্ষ্ণৌ অধিবেশন ও কংগ্রেসের সংযুক্তি (১৯১৬)।
- কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে লক্ষ্ণৌ চুক্তি (১৯১৬)।
- সেক্রেটারি অফ স্টেট এডউইন মন্টেগুর অগাস্ট ডিক্লারেশন (১৯১৭)।
- গান্ধির ভারতে প্রত্যাবর্তন (১৯১৫), এবং প্রথম
- তিনটি স্থানীয় আন্দোলন-চম্পারন (১৯১৭),
- খেড়া ও আমেদাবাদ (১৯১৮)।
- গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আইন (মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার), প্রদেশে দ্বৈত শাসনব্যবস্থা।
- রাওলাট আইন (১৯১৯) এবং জালিয়ানওয়াবাগের ঘটনা (১৩ এপ্রিল, ১৯১৯)।
- খিলাফৎ আন্দোলন (১৯১৯-২০)।
- অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০-২২)।
- লর্ড রিডিং (১৯২১-২৫)
- প্রিন্স অফ ওয়েলসের ভারত সফর এবং দেশজুড়ে প্রতিবাদ
- চৌরিচৌরার ঘটনা (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২) এবং অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহত।
- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, মতিলাল নেহরুর নেতৃত্বে স্বরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠা।
- ভারত ও ইংল্যান্ডে একই সঙ্গে আই.সি.এস পরীক্ষা গ্রহণ; সেনাবাহিনীতে প্রথম ভারতীয় অফিসার নিয়োগ।
- নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন কে.বি. হেডগেওয়ার (১৯২৫)।

British Rule in India
লর্ড আরউইন (১৯২৬-৩১)

- সাইমন কমিশন (১৯২৭), ভারতীয়দের কমিশন বয়কট ও প্রতিবাদ আন্দোলন।
- ভারতীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য হারকোর্ট বাটলার কমিটি নিযুক্ত (নভেম্বর, ১৯২৭), প্রত্যুত্তরে অল ইন্ডিয়া স্টেটস্ পিপলস্ কনফারেন্স গঠিত (ডিসেম্বর, ১৯২৭)।
- মোতিলাল রিপোর্ট (১৯২৮)।
- কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশন (ডিসেম্বর, ১৯২৯), পূর্ণ স্বরাজ প্রস্তাব গৃহীত।
- আইন অমান্য আন্দোলনের সূত্রপাত (মার্চ, ১৯৩০)।
- গোলটেবিল বৈঠক, গান্ধি-আরউইন চুক্তি, আইন অমান্য আন্দোলন স্থগিত (মার্চ, ১৯৩১)।
British Rule in India
লর্ড ওয়েলিংডন (১৯৩১-৩৬)
- দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর, ১৯৩১), সশস্ত্র বিপ্লবী কার্যকলাপের বিস্তার, সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ (১৯৩২), আইন অমান্য আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় (১৯৩২-৩৪)।
- সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ার প্রতিবাদে গান্ধিজির জেলে অনশন এবং গান্ধি-আম্বেদকরের পুনা চুক্তি (১৯৩২)।
- বার্মা ভারত থেকে পৃথক (১৯৩৫)।
গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট (১৯৩৫) প্রণীত।
British Rule in India
লর্ড লিনলিথগো (১৯৩৬-৪৩)
- সাধারণ নির্বাচনের পর ৮টি প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রিসভা গঠন (১৯৩৭)
- কংগ্রেস থেকে সুভাষচন্দ্র বোসের পদত্যাগ এবংফরওয়ার্ড ব্লক গঠন (১৯৩৯)।
- কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ না করেই লিনলিথগোর জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, কংগ্রেস মন্ত্রিসভাসমূহের পদত্যাগ (১৯৩৯), মুসলিম লিগ পদত্যাগের দিনটিকে ‘Deliverance Day’ হিসেবে উদ্যাপন করে।
- মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত (মার্চ, ১৯৪০)।
- ক্লিপস মিশন (১৯৪২)
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন (অগাস্ট, ১৯৪২)।
- সুভাষচন্দ্র বোসের নিষ্ক্রমণ (১৯৪১), আজাদ হিন্দ সরকার গঠন (১৯৪৩)।
- বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (১৯৪২-৪৩)।
লর্ড ওয়াভেল (১৯৪৩-৪৭)
- রাজাগোপালাচারি সূত্র (১৯৪৪), এবং তার ভিত্তিতে গান্ধি-জিন্না আলোচনা; আলোচনা ব্যর্থ।
- ওয়াভেল পরিকল্পনা এবং সিমলা কনফারেন্স (১৯৪৫), আবারও আলোচনা ব্যর্থ।
- সাধারন নির্বাচন: পাঞ্জাব (জোট সরকার), বাংলা ও সিন্ধ (মুসলিম লিগ ক্ষমতায়), বাদে অন্য সব প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায়।
- আই.এন.এ. বন্দিদের বিচার (১৯৪৬), দেশজুড়ে বিক্ষোভ, আন্দোলন, কলকাতায় ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন।
- নৌ-বিদ্রোহ (১৯৪৬)।
- ক্যাবিনেট মিশন (১৯৪৬)।
- জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত, মুসলিম লিগ দূরে সরে রইল।
- জিন্নার ডাকে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ (১৭ আগস্ট ১৯৪৬), ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান শ্লোগান; দেশজুড়ে, বিশেষত বাংলা ও পাঞ্জাবে সংঘর্ষ; কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা (গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং)
- মুসলিম লিগ শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিল (অক্টোবর, ১৯৪৬)।
British Rule in India
লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন (মার্চ-অগাস্ট, ১৯৪৭)
- মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা।
- ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) পাস।
- ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা ভারত বিভাজন লাভ (১৪-১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭)।
উপসংহার:
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়রেখা ইতিহাসের ইতিহাসে একটি অশান্ত অধ্যায়ের প্রতীক, যা বিজয়, শোষণ এবং প্রতিরোধ দ্বারা চিহ্নিত। বহু শতাব্দী ধরে ঔপনিবেশিক পরাধীনতা সহ্য করেও, ভারতীয় জনগণের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ় সংকল্প শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার ভোরের দিকে নিয়ে যায়। আজ, যখন আমরা এই জটিল উত্তরাধিকারের প্রতিফলন করি, এটি স্বাধীনতার জন্য স্থায়ী সংগ্রাম এবং একটি জাতির অদম্য চেতনার একটি মর্মস্পর্শী অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।[British Rule in India]
open a computer training center with CBMCE
this is a valuabe content , and i realy like this post format,no extra things ,just only working content input here