What is Five-Year Plans of India(1951-2017)

Five-Year Plans of India
Economic Planning – List of Five-Year Plans of India – History , Characteristics & Objectives (1951-2017)
ভারতীয় পাঁচ বছরের পরিকল্পনা (Five-Year Plans of India) ভারতের রাষ্ট্রীয় বিকাশ পদক্ষেপের একটি প্রধান উপায়। এই পরিকল্পনা ভারতের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নতি এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছরের পরিকল্পনা 1951 থেকে 1956 সালের মধ্যে শুরু হয়। এরপর প্রতিটি পাঁচ বছরের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে, যার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকাশ করতে প্রয়োজনীয় নীতিসমূহ উত্থাপন করেছে।
ভারতীয় পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সাধারণত দুই বিশাল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবর্তন করেছে: প্রথমত, রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দ্বিতীয়তঃ, সামাজিক উন্নতি। এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রমগুলি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হয়েছে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, গবেষণা ও উন্নয়ন, বিনির্মাণ ইত্যাদি।
প্রথম পাঁচ বছরের পরিকল্পনার পরিকল্পনা তিনটি মৌলিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেছিল: প্রথমত, কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, দ্বিতীয়তঃ, উদ্যোগ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন, এবং তৃতীয়তঃ, কোনও ক্ষেত্রে সামাজিক উন্নতির উপর কেন্দ্রিত নেই।Five-Year Plans of India
প্রথম পাঁচ বছরের পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে থাকছে বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রযুক্তি সংস্থানের প্রতিষ্ঠান, কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়নের উপায়ে বড় গভীরভাবে নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এবং উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা।
দ্বিতীয় পাঁচ বছরের পরিকল্পনা মাধ্যমে কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য আরও বৃহত্তর এবং সংগঠিত করা হয়েছে I

Five-Year Plans of India purpose
DOWNLOAD FULL PDF Link Available Bellow
Table of Contents
প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৫১ – ৩১.৩.১৯৫৬)
উদ্দেশ্য:
(১)খাদ্য সমস্যা সমাধান ও কাঁচামাল হিসাবে পাট, তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি।
(২) যুদ্ধ ও দেশভাগের ফলে বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনরুন্নয়ন ও মুদ্রাস্ফীতি রোধ।
(৩) পথঘাট, নির্মান, রেললাইন, সেচব্যবস্থার উন্নয়ন।
(৪) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ইত্যাদি।
অনুমিত ব্যয়: ২৩৫৬ কোটি টাকাFive-Year Plans of India
ব্যয় হয়: ১৯৬০ কোটি টাকা (১৯% কৃষি, সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে, ২৯% জলসেচ ও উৎপাদনে ধার্য্য ও ২৭% পরিবহন খাতে)।
ফলাফল: জাতীয় আয় ১১% থেকে ১৮% হয়, মাথাপিছু আয় বাড়ে ১১% খাদ্য উৎপাদন ২০% বাড়ে, শিল্প উৎপাদনের বার্ষিক বৃদ্ধি ৮% কয়েকটি নতুন শিল্প যেমন তৈল পরিশোধন, জাহাজ নির্মান, পেনিসেলিন শিল্প গড়ে ওঠে।
দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৫৬- ৩১.৩.১৯৬১)
উদ্দেশ্য: এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের। ভারতের অর্থনীতিকে একটি উর্দ্ধমুখী উন্নয়ন স্তরে পৌঁছানো।
ব্যয়: ৪৮০০ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হলেও প্রকৃত পরিমান দাঁড়ায় ৪৬০০ টাকা বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের পরিমান ৩১০০ কোটি টাকা ধরা হয়। (শিল্প, খনিজ খাতে ২০%, পরিবহন খাতে ২৫%, সমাজসেবাতে ১৮%)Five-Year Plans of India
ফলাফল: প্রথম পরিকল্পনার তুলনায় দ্বিতীয় পরিকল্পনায় সাফল্য কম চোখে পড়ে। জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি হয় ১৯.৫ (লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫)। এই সময়ে ১০.৩ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথাপিছু আয় মাত্র ৮% বৃদ্ধি পায়।। শিল্পোৎপাদন ৭% বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার কম। এই সময় দুর্গাপুর, ভিলাই, রাউরকেল্লায় ইস্পাতকেন্দ্র স্থাপিত হয়। কৃষিক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য খাদ্যশস্যর দাম বাড়ে অভূতপূর্ব। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এই পরিকল্পনা রূপায়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৬১ ৩১.৩.১৯৬৬)
উদ্দেশ্য:
(১) বার্ষিক ৫ শতাংশ বেশী হারে জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা।
(২) খাদ্যশস্য স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন।
(৩) ইস্পাত, রাসায়নিক শিল্পের মতো ভারী শিল্পের সম্প্রসারণ এবং যন্ত্রনির্মান ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা।
ব্যয়: সরকারি খাতে মোট ব্যয় হয় ৮,৬৩১ কোটি টাকা। (৩৬% কৃষি, সেচ ও বিদ্যুত; ২০% পরিবহনে এবং অন্যান্য খাতে ব্যয়ের পরিমান হয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মতো) তৃতীয় পরিকল্পনার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় কৃষি।Five-Year Plans of India
ফলাফল: এই পরিকল্পনায় কোন লক্ষ্যমাত্রাই পূর্ণ হয়নি অর্থাৎ ব্যর্থ হয়। জাতীয় আয় বৃদ্ধি ১৩-এ নেমে আসে (লক্ষ্যমাত্রা ৩০ ছিল) মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায় ১% শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ১৪% (লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০%) কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শিল্পোৎপাদন বার্ষিক ৭.৬% হারে বৃদ্ধি পায়।
বার্থতার কারণ : : এই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পেছনে অনেকগুলি রাজনৈতিক কারণ বর্তমান যেমন ভারত-চিন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, নানা স্থানে খরা, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কেন্দ্র-রাজ্যের সংহতির অভাব ইত্যাদি।
তিনটি বার্ষিক পরিকল্পনা : (১৯৬৬ – ১৯৬৯): হিসেব মতো ৬৬-৭১ চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনা শুরু না করার ফলে এবং বার্ষিক উন্নয়নের কার্যধারাকে অবিচ্ছিন্ন রাখার উদ্দেশ্যেই তিনটি ব্রন্দ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ফলে ধারাবাহিক পরিকল্পনায় ছেদ পড়ে। এই কারণে এই সময়কে ‘পরিকল্পনা থেকে বিরতি’র সময় বলা হয়। এই সময় নতুন কোনো কর্মসূচী গ্রহণ না করে তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছিল সেগুলিকে সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করার চেষ্টা করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে আবার চতুর্থ পরিকল্পনা শুরু হয়।
চতুর্থ পণ্যবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৬৯ ৩১.৩.১৯৭৪)
উদ্দেশ্য:
(১) অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন।
(২) কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন বার্ষিক ৫.৭% হারে বাড়ানো।
(৩) কৃষিজাত দ্রব্যের মূল্যস্তর ও সাধারণ মূল্যস্তরের মধ্যে একটি সহনযোগ্য স্থিতিশীলতা আনয়ন।
(৪) অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও অনুন্নত শ্রেণীর মধ্যে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণ।
ব্যয়: এই পরিকল্পনাতে ২৪,৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয় (কৃষি ও সেচের ওপর ২৪%, শিল্প ও খনিজে ২১%, পরিবহনে ২০% এবং সমাজ সেবা খাতে ১৮%)Five-Year Plans of India
ফলাফল: এই পরিকল্পনাতেও ব্যর্থতাই লক্ষ্যনীয়। জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৩.৩% (লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫.৭%) মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার হয় ১.২%। এই সময় কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হলেও কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ২.৮% হয় (৫.৭% এর বদলে), শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার ৩.৯% (লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮.১%) বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি, শিল্পে মন্দা, শ্রমিক অশান্তি এসবই ছিল প্রধান কারণ।
পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৭৪ ৩১.৩.১৯৭৯)
উদ্দেশ্য: বিগত কয়েকটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতির ওপর তীব্র চাপের সৃষ্টি হয়েছিল এই পরিকল্পনায়, তাই এই পরিকল্পনায় প্রধান দুই উদ্দেশ্য দারিদ্র দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা অর্জন।Five-Year Plans of India
ব্যয়: সরকারী খাতে বিনিয়োগে পরিমান ধরা হয় ৩৯,৩০৩ কোটি টাকা এবং বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের পরিমান ধরা হয় ২০,০৪৮ কোটি টাকা। (সরকারী ব্যয়ের ২৬% শিল্প খনিজে, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রনে ১৮%, পরিবহনে ১৮% ও সমাজসেবা খাতে ১৭% ব্যয়িত হবে বলে ধরা হয়।
ফলাফল: এই পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত রূপায়িত হয়নি ভারতবর্ষে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্য। ফলে ১৯৭৯ সালের বদলে ১৯৭৮-এর মার্চে এটিকে শেষ করে দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বদলে ১৯৭৮-৮০ পর্যন্ত পরিকল্পনা গ্রহন করে। তবুও পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রথম চার বছরে জাতীয় আয় বার্ষিক ৩.৯% হারে বাড়ে (লক্ষ্যমাত্রা ৪.৪%), কৃষিজাত দ্রব্যের রেকর্ড উৎপাদন হয় ১২.৬ কোটি টন (লক্ষ্যমাত্রা কৃষিদ্রব্য উৎপাদন ৩.৪% হারে বাড়বে) শিল্প উন্নয়ন ৫.৩% (লক্ষ্যমাত্রা ৮% থেকে কমিয়ে ৬.২% করা হয়)।
ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৮০-৩১.৩.১৯৮৫)
উদ্দেশ্য: বিগত তিন দশকে দারিদ্রতা তীব্রতর হওয়ার ফলে এই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র দূরীকরণের ওপর সবচেয়ে বেশী জোর দেওয়া হয়। ভারতীয় অর্থনীতির ৫.২% হারে উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বার্ষিক ৩.৩% হারে বৃদ্ধি, বিনিয়োগের পরিমান (১৯৭৯-৮০) তে ২১.৮% থেকে ৮৪-৮৫তে ২৫.১% করা হবে I
ব্যয়: মোট ৯৭৫০০ কোটি টাকা সরকারী খাতে বরাদ্দ করা হয়। (২৮% শক্তি বিজ্ঞান এবং কারিগরী খাতে, ১৫.৯% পরিবহন খাতে, ১৫.৪% শিল্পে ও খনিজে, ১২.৮% কৃষিক্ষেত্রে)। Five-Year Plans of India
ফলাফল: খরা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য এই পরিকল্পনা এক বিশেষ সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখে পড়ে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা সম্ভব হয়েছিল কৃষি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সম্প্রসারণে। শিল্পক্ষেত্রে অগ্রগতির হার দাঁড়ায় ৩.৭% (লক্ষমাত্রার চেয়ে ৬.৯% কম)।
সপ্তম পণ্যবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৮৫- ৩১.৩.১৯৯০)
উদ্দেশ্য: দারিদ্র দূরীকরণ, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা অর্জন, আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা সমূহের সার্থক ও সুষ্ঠু রূপায়ন ছাড়াও বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রগতির সাথে পা মেলাতে হবে। এছাড়া মানবসম্পদের উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়I
ব্যয়: সরকারী খাতে বরাদ্দ ছিল ১,৮০,০০০ কোটি টাকা। (৩০.৪৫% শক্তি খাতে, ৩৮% ছিল মোট কৃষি, সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সমাজসেবা ও বিশেষ বিশেষ অঞ্চলের উন্নয়ন, কৃষিখাদ্যে সরকারী খাতের ৬৮.৮৫%)।Five-Year Plans of India
ফলাফল: এই পরিকল্পনাতে জাতীয় আয়ের হার লক্ষ্যমাত্রা ৫% কে অতিক্রম করে ৫.৬% হয়, তবে কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতির হার (৩.৬%) লক্ষ্যমাত্রা (৪%) অপেক্ষা কম ছিল। শিল্পক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য আসে এবং উৎপাদন হার ৮.৪% লক্ষ্যমাত্রা ৮% কে অতিক্রম করে। ভারি শিল্পের তুলনায় ভোগ্যপণ্য শিল্পের অগ্রগতি বেশী হয়।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৯২ ৩১.৩.১৯৯৭)
যদিও অষ্টম পরিকল্পনা ১৯৯০ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কেন্দ্র ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তা শুরু হতে পারেনি। অবশেষে পি.ভি. নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে নতুন স্থায়ী সরকার আসার পর ১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল থেকে এই পরিকল্পনা শুরু হয়। এর মূল উদ্দেশ্যগুলি হ’ল-
উদ্দেশ্য:
(১) সর্বক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কর্মনিয়োগ সৃষ্টি করে ২০০০ সালে প্রায় পূর্ণ নিয়োগের স্তরে উন্নীত হওয়া।
(২) জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে জনবৃদ্ধির হারকে নিয়ন্ত্রিত করা।
(৩) প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন করা, ১৫-৩৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতা দূরীকরণ করা।
(৪) পানীয় জল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যের সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণ।
(৫) শক্তি, পরিবহন, জলসেচ ইত্যাদির মতো অর্থনৈতিক পরিকাঠামো সুদৃঢ় করা।
(৬) খাদ্যদ্রব্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কৃষি উৎপাদন হার বৃদ্ধি
ব্যয়: বরাদ্দ ৮,৭১,১০০ কোটি টাকা; বিনিয়োগ করা হয়েছিল ৭,৯৮,০০০ কোটি টাকা সরকারী ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল ৪৩৪১০০ কোটি টাকা। (মোট ব্যায়ের ৪৯.৮% সরকারী খাতে) (খনি ও যন্ত্র শিল্পে ২৮.৭৫%, বিদ্যুৎ ও পরিবহনে ২৬.৫৪%, কৃষি, জলসেচ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের ক্ষেত্রে ১৮.৬৫%, বাকি নির্মাণ ক্ষেত্রে ও সেবা খাতে)।
ফলাফল : এই পরিকল্পনায় আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৬% ও ৮.৪% (বার্ষিক মোট দেশীয় উৎপন্নের)।Five-Year Plans of India
নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.১৯৯৭-৩১.৩.২০০২)
উদ্দেশ্য:
(১) গ্রামাঞ্চলে কর্মনিয়োগ বাড়ানো ও দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষিতে গুরুত্ব আরোপ।
(২) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে রেখে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার বাড়ানো।
(৩) সমাজের নীচু তলার মানুষের জন্য খাদ্য ব্যবস্থার সুবন্দোবস্ত করা।
(৪) জনসংখ্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন।Five-Year Plans of India
(৫) পঞ্চায়েতী রাজ; ক্ষমতার ইত্যাদি উন্নয়ন।
ব্যয়: বরাদ্দ ২১,৯০,০০০ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত খাতে ৭৫৯,০০০ কোটি টাকা (GPDর ১০%) (জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৭% বছরে, শিল্পের উৎপাদন ৯.৩%)।
দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.২০০২ ৩১.৩.২০০৭)
উদ্দেশ্য:
(১) দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
(২) সব শিশুকেই স্কুলে পাঠানো (৫ বছরের মধ্যে সব শিশুকে ২০০৭ এর মধ্যে স্কুলে পাঠানো)
(৩) সাক্ষরতার ক্ষেত্রে স্ত্রী-পুরুষ ভেদ মেটানো।
(৪) জনসংখ্যা বৃদ্ধির দশকের হার কমানো।
(৫) বনাঞ্চলের আয়তন বৃদ্ধি (২৫% ৩৩%)
(৬) সব গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা।
(৭) প্রধান প্রধান দূষিত নদীগুলিকে পরিষ্কার করা।
একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.২০০৭ – ৩১.৩.২০১২)
উদ্দেশ্য:
(১) আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৯ শতাংশ।
(২) বেকারত্বের হার ৫ শতাংশের নীচে আনা।
(৩) মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের কাছাকাছি রাখা।
(৪) সমস্ত সরকারী প্রকল্পের অন্ততঃ ৩৩ শতাংশ সুফল মহিলাদের জন্য নিশ্চিত করা।
(৫) মাথাপিছু দারিদ্র্যের অনুপাত ১০ শতাংশ কমানো।
(৬) বনাঞ্চল এলাকা ৫ শতাংশ বাড়ানো।
(৭) সমস্ত নাগরিক বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ করে ২০১১-১২ সালের মধ্যে সমস্ত নদীদূষণ মুক্ত করা।
(৮) কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ থেকে বাড়িতে ৪ শতাংশ করা।
(৯) স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত পরিষেবার সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।Five-Year Plans of India
দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১.৪.২০১২-৩১.৩.২০১৭)
উদ্দেশ্য:
(১) ১০ শতাংশ দারিদ্র দূরীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
(২) দেশের বৃদ্ধির হারকে ৯ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়।Five-Year Plans of India
ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য
নিম্নলিখিতগুলি ছিল ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
এটি ভারতে পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় দ্বারা পরিমাপ করা হয়
কর্মসংস্থানের বর্ধিত স্তর:
ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল কর্মসংস্থানের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেশের উপলব্ধ মানবসম্পদকে আরও ভালভাবে ব্যবহার করা।
স্বয়ংসম্পূর্ণতা:
ভারতের লক্ষ্য প্রধান পণ্যগুলিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করা। 1961-66 সালে তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময় ভারতীয় অর্থনীতি উন্নয়নের টেক-অফ পর্যায়ে পৌঁছেছিল।Five-Year Plans of India
সমাজকল্যাণ এবং দক্ষ সামাজিক পরিষেবার ব্যবস্থা:
সমস্ত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য এবং সেইসাথে NITI আয়োগ দ্বারা প্রস্তাবিত পরিকল্পনার লক্ষ্য হল সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য শ্রম কল্যাণ, সামাজিক কল্যাণ বৃদ্ধি করা। ভারতে সামাজিক পরিষেবার উন্নয়ন, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জরুরি পরিষেবাগুলি ভারতে পরিকল্পনার অংশ।
আঞ্চলিক উন্নয়ন:
ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার লক্ষ্য উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো। উদাহরণস্বরূপ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর মতো কিছু রাজ্য অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে উন্নত যেখানে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম এবং নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যগুলি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশের মতো অন্যান্য শহরগুলিতে বিশ্বমানের অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং তুলনামূলকভাবে কম উন্নত পশ্চিমাঞ্চলের সাথে অসম উন্নয়ন হয়েছে। ভারতে পরিকল্পনার লক্ষ্য এই বৈষম্যগুলি অধ্যয়ন করা এবং সেগুলি হ্রাস করার জন্য কৌশলগুলির পরামর্শ দেওয়া৷
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা:
ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থিতিশীল বাজারের অবস্থারও লক্ষ্য রাখে। এর অর্থ মূল্যস্ফীতি কম রাখা এবং মূল্যস্ফীতি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা। পাইকারি মূল্য সূচক খুব বেশি বা খুব কম বেড়ে গেলে, অর্থনীতিতে কাঠামোগত ত্রুটি তৈরি হয় এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনার লক্ষ্য এটি এড়ানো।Five-Year Plans of India
ব্যাপক এবং টেকসই উন্নয়ন:
কৃষি, শিল্প এবং পরিষেবার মতো সমস্ত অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস:
প্রগতিশীল কর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং চাকরি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর ব্যবস্থাগুলি স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য।
সামাজিক ন্যায়বিচার:
পরিকল্পনার এই উদ্দেশ্যটি অন্যান্য সমস্ত উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি ভারতে পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর লক্ষ্য দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী লোকদের জনসংখ্যা হ্রাস করা এবং তাদের কর্মসংস্থান এবং সামাজিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস প্রদান করা।জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি: মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করা এবং আয়ের সমান বন্টন ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ইতিহাস
15 আগস্ট 1947 সালে দেশ ভাগের সাথে সাথে ভারতে স্বাধীনতা আসে। 1948 সালে, একটি শিল্প নীতি বিবৃতি ঘোষণা করা হয়েছিল।এটি একটি জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন গঠন এবং একটি মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নীতি প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে।26 জানুয়ারী 1950 সালে, সংবিধান কার্যকর হয়। একটি যৌক্তিক ক্রম হিসাবে, পরিকল্পনা কমিশন 15 মার্চ 1950 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 1 এপ্রিল 1951 থেকে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (1951-56) চালুর মাধ্যমে পরিকল্পনা যুগ শুরু হয়েছিল।যাইহোক, ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ধারণা প্রাক-স্বাধীনতার দিনগুলিতে খুঁজে পাওয়া যায়।
“গ্রেট এগ্রিকালচারাল ডিপ্রেশনের (1929-33) সময় এবং পরে ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ধারণাটি মুদ্রা অর্জন করেছিল। তৎকালীন ভারত সরকার অর্থনৈতিক বিষয়গুলি পৃথক শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।”Five-Year Plans of India
এটা বরং আশ্চর্যজনক যে ভারতের পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্ট প্রথম এসেছিল একজন ইঞ্জিনিয়ার-প্রশাসক এম. বিশ্বভার্যার কাছ থেকে। তাকে নিছক অর্থনৈতিক অনুশীলন হিসাবে ভারতে পরিকল্পনার কথা বলার পথপ্রদর্শক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 1934 সালে প্রকাশিত তাঁর ‘প্ল্যানড ইকোনমি ফর ইন্ডিয়া’ বইটি দশ বছরের পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছিল। তিনি টাকা মূলধন বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছেন। 1,000 কোটি এবং প্রতি বছর শিল্প উত্পাদন ছয় গুণ বৃদ্ধি।
1938 সালে, পন্ডিত জেএল নেহরুর নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি (এনপিসি) নিযুক্ত করে। এনপিসিকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব, জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সাধারণভাবে অর্থনৈতিক পুনর্জন্মের সমস্যা সমাধানের উপায় হিসাবে জাতীয় পরিকল্পনার একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, 1939 সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা এবং নেতাদের কারাগারে রাখার সাথে, এনপিসি এগিয়ে যেতে পারেনি।Five-Year Plans of India
বোম্বে প্ল্যান, পিপলস প্ল্যান এবং গান্ধীয় পরিকল্পনা: 1940-এর দশকে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত একটি পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় পুঁজিবাদীদের দ্বারা প্রস্তুত করা বোম্বে পরিকল্পনা। এটি ছিল যথেষ্ট পরিমাণ সরকারি হস্তক্ষেপের অধীনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি পরিকল্পনা।এটি 15 বছরের মধ্যে জাতীয় আয় তিনগুণ এবং মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে শিল্প খাতের উপর জোর দিয়েছে।
এই পরিকল্পনার অধীনে পরিকল্পনা এবং শিল্পায়ন সমার্থক ছিল।বোম্বে প্ল্যানের একটি বিকল্প 1944 সালে এম.এন. রায় দিয়েছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা পিপলস প্ল্যান নামে পরিচিত হয়। তার পরিকল্পনার ধারণা সোভিয়েত ধরনের পরিকল্পনা থেকে ধার করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনায় কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এই পরিকল্পনা সমাজের একটি সমাজতান্ত্রিক সংগঠনের পক্ষে ছিল।গান্ধীবাদী অর্থনীতির মূল নীতির আলোকে, এস.এন. আগরওয়াল 1944 সালে ‘দ্য গান্ধীয় পরিকল্পনা’ রচনা করেন যাতে তিনি ছোট ইউনিট উৎপাদন এবং কৃষি সম্প্রসারণের উপর জোর দেন। এর মৌলিক বৈশিষ্ট্য ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম ও কুটির শিল্প সহ অর্থনৈতিক কাঠামোর বিকেন্দ্রীকরণ।Five-Year Plans of India
স্বাধীনতার পর, ভারত সরকার 1950 সালের মার্চ মাসে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেছিল। কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল (ক) দেশের বস্তুগত মূলধন এবং মানব সম্পদের একটি মূল্যায়ন করতে এবং সবচেয়ে কার্যকর ও ভারসাম্যের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে। তাদের ব্যবহার; (খ) অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর্যায়গুলি সংজ্ঞায়িত করুন এবং প্রতিটি পর্যায়ে যথাযথ সমাপ্তির জন্য সম্পদ বরাদ্দের প্রস্তাব করুন; (গ) অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার প্রবণতাকে চিহ্নিত করুন; এবং (ঘ) পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যে শর্তগুলি (তৎকালীন বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে) স্থাপন করা উচিত তা নির্ধারণ করুন।Five-Year Plans of India
ভারতের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য
নিচে ভারতের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে
- সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক: ভারতীয় পরিকল্পনার প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক।Five-Year Plans of India
- বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা: বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা ভারতীয় পরিকল্পনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য যার লক্ষ্য পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অর্জন করা।Five-Year Plans of India
- কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত: ভারতীয় পরিকল্পনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ এটি পরিচালনা করে। এটি হল ভারতের পরিকল্পনা কমিশন নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার ভূমিকা পালন করে যাতে পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার উপর প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করা যায়।Five-Year Plans of India
- কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা এবং রাজ্য পরিকল্পনার সহাবস্থান রয়েছে।
- পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা: ভারতীয় পরিকল্পনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল পাঁচটি পৃথক বার্ষিক পরিকল্পনা উপাদান সহ পাঁচ বছর মেয়াদী একটি পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
- প্রতিটি পরিকল্পনায়, সরকারী খাত এবং বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রেই একটি পৃথক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
- মৌলিক উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত: ভারতীয় পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল যে প্রতিটি পরিকল্পনা মৌলিক উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা আমাদের বেশিরভাগ পরিকল্পনায় প্রায় সাধারণ।
- ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়ন: ভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল যে এটি ক্রমাগত ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।Five-Year Plans of India
- পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা: ভারতীয় পরিকল্পনা দেশের কিছু মৌলিক বিষয় বা সমস্যার জন্য দৃষ্টিকোণ পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
- ভারতীয় পরিকল্পনা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন যন্ত্রপাতি দ্বারা সমর্থিত, যা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
- ভারতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এর ঘাটতি, যা পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রকল্পগুলি ছড়িয়ে পড়ার সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।Five-Year Plans of India
- ভারতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলি মাথায় রেখে উন্নয়নের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেIFive-Year Plans of India
Five-Year Plans of India purpose
Downloads now click here