পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর

পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর
পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বজুড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছরের উল্লেখ করা হলো—

1273:
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করা হয়।
1737:
ভারতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ মারা যায়।
1835:
বিজ্ঞানী এ.জি. ট্যানলে প্রথমবারের মতো ‘ইকোসিস্টেম’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
1840:
বিজ্ঞানী স্কোনবি সর্বপ্রথম ওজোন স্তরের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
1858:
হেনরি ডেভিড থরো প্রথমবার ‘ইকোলজি’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
1870:
বিজ্ঞানী আর্নেস্ট হেকেল ‘ইকোলজি’ শব্দটির সঠিক সংজ্ঞা প্রদান করেন।
1872:
বিশ্বের প্রথম জাতীয় উদ্যান হিসেবে আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক ঘোষণা করা হয়।
1896:
সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে আরহেনিয়াস সর্বপ্রথম বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ক্ষতিকর পরিমাণ সম্পর্কে সতর্ক করেন।
1904:
হানিং প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বৃদ্ধি করার সফলতা পান, যা ‘Embryo Culture’ নামে পরিচিত।
1923:
ভারতে বয়লার আইন গৃহীত হয়।
1927:
ভারতে বন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বনভূমি সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
1935:
চার্লস রিখটার ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য ‘রিখটার স্কেল’ আবিষ্কার করেন। ভারতে সবচেয়ে পুরনো জাতীয় উদ্যান ‘করবেট ন্যাশনাল পার্ক’ (হেইলি ন্যাশনাল পার্ক) স্থাপিত হয়।
1945:
হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। একই বছরে UNESCO প্রতিষ্ঠিত হয়।
1956:
যুক্তরাজ্যের ক্যালডার হলে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
1970:
যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ‘Environmental Protection Agency (EPA)’ গঠন করে।
1971:
রামসার শহরে জলাভূমি সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
1972:
স্টকহোমে পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভারত সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন চালু করে।
1973:
উত্তরপ্রদেশে ‘চিপকো আন্দোলন’ শুরু হয়।
1980:
ভারতে বন সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয়।
1981:
ভারতে ‘বায়ু দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ আইন প্রণীত হয়।
1987:
‘Our Common Future’ (Brundtland Report) প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রথমবার ‘Sustainable Development’ ধারণাটি তুলে ধরা হয়।
1992:
রিও ডি জেনেইরোতে ‘বসুন্ধরা সম্মেলন’ (Earth Summit) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
2015:
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির নিচে রাখা।
টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development)
টেকসই উন্নয়ন এমন একটি কৌশল, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্পদ সংরক্ষণ করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করে।
প্রধান নীতিগুলো:
- পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা
- সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন
- দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming)
শিল্প বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মানবসৃষ্ট কার্যকলাপের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ:
- জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার
- বন উজাড়
- গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ
প্রতিকার:
- নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার
- বন সংরক্ষণ
- কার্বন নিঃসরণ কমানো
উপসংহার
এই ঘটনাগুলো আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব বোঝায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।
About the Author
Sisir Mondal
Administrator
My name is SISIR MONDAL, I complete my graduate from University of Kalyani , West Bengal, India . I am like to build WordPress website and also developing this type of website . If you want your website , you can contact me trough email. thanks to visit this site.